Thursday, July 23, 2020

সূর্য - Solar System | ADVUT365



আমাদের সূর্য আসলে বৈদ্যুতিক চার্জে ভরা গ্যাসের বিশাল এক গোলক। একশ'রও বেশি পৃথিবী পাশাপাশি রাখলে সূর্যের ব্যাসের সমান মাপ ছোঁয়া সম্ভব৷ সূর্যের উপরিভাগের উপর বারবার কলঙ্ক বা ছোপ দেখা যায়। বাকি অংশের তুলনায় অপেক্ষাকৃত শীতল বলে টেলিস্কোপে দেখলে সেগুলিকে কালো মনে হয়। অতি বেগুনি রশ্মি সূর্যের উপর গরম প্লাজমাভরা চৌম্বক ক্ষেত্রের বিশাল বক্র রেখা স্পষ্ট করে দেয়।

সূর্যের কেন্দ্রস্থলে হাইড্রোজেন জ্বলে হিলিয়ামে পরিণত হয়। সেই বিকিরণ সূর্যের উপরিভাগে আসতে এক লাখ বছরেরও বেশি সময় লাগে। ৬,০০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার সেই বিকিরণ কিন্তু অপেক্ষাকৃত শীতল। কারণ, সূর্যের বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা প্রায় ১০ লক্ষ ডিগ্রি সেলসিয়াস! 

প্রায় ৪৫ কোটি বছর ধরে সূর্য আলো দিয়ে চলেছে। সবরকম আলোড়ন ও ক্রিয়া সত্ত্বেও সূর্য কিন্তু আমাদের মিল্কি ওয়ে গ্যালাক্সি বা ছায়াপথের যে কোনো সাধারণ নক্ষত্রের মতোই। হাইড্রোজেন জ্বলেপুড়ে শেষ হয়ে গেলে আমাদের সূর্য ফুলেফেঁপে তথাকথিত লাল দৈত্যে পরিণত হবে। তার অনেক আগেই অবশ্য পৃথিবী মৃত গ্রহে পরিণত হবে।

আদিকাল থেকেই মানুষ সূর্যের অসীম গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন। সূর্যই পৃথিবীতে উত্তাপ ও আলোর জোগান দেয়। সূর্য ছাড়া বৈচিত্র্যে ভরা জীবজগত সৃষ্টি হতো না।

সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সূর্য এক দিগন্ত থেকে অন্য দিগন্তে পৌঁছে যায়। সেই গতির ভিত্তিতেই দিন ও বছরের নিখুঁত হিসেব করা হয়। ফলে সূর্যই মানুষের মনে সময়ের অনুভূতি জাগিয়ে তোলে। তবে স্যাটেলাইটের যুগে এসে সূর্যের প্রভাবের আসল মাত্রা বোঝা গেছে। সূর্য প্রতিনিয়ত বৈদ্যুতিক চার্জে ভরা কণা নিক্ষেপ করে চলেছে।

সেই বিচ্ছুরণকে সৌর বাতাস বলা হয়। কণার এই স্রোত অনেক দূরে বাইরের দিকে এক সুরক্ষার বুদবুদ সৃষ্টি করে। সেই বর্ম আমাদের সৌরজগতকে মিল্কি ওয়ে থেকে আসা মহাজাগতিক বিকিরণ থেকে রক্ষা করে।

0 comentários:

Post a Comment

Feature Post