Monday, October 12, 2020

বিশ্বের সবচেয়ে বড় ৫টি যানবাহন | Top 5 Biggest Machine in 2020 | ADVUT 365





আজকের পর্বটি সাজানো হয়েছে চমক লাগানো ৫টি আবিস্কার নিয়ে।
প্রথমে থাকছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় জাহাজহারমনি অব দ্য সিজ জাহাজটি টাইটানিকের চেয়ে ২০ গুণ বড়। ইংল্যান্ডের সাউথহ্যাম্পটন বন্দর থেকে চোখ ধাঁধানো এই জাহাজটির উদ্বোধন করা হয়। জাহাজটি একটি বড় শহর থেকে কম নয়। কি নেই এতে? ১টি বিশাল খেলার মাঠ, ২০টি রেষ্টুরেন্ট বার, কমেডি জ্যাজ ক্লাব, বুটিক শপ, সি স্পা ফিটনেস সেন্টার, ইউথ জোন, ২৩টি সুইমিংপুল, স্পের্টস জোন, সেন্ট্রাল পার্ক এবং চিত্তবিনোদনের হরেক উপকরন। ছাড়া কেনাকাটা শরীরচর্চার জন্যও রয়েছে সব ব্যবস্থা। একদম মাঝখানে অবস্থিত সেন্ট্রাল পার্কে সাড়ে ১০ হাজারের বেশি উদ্ভিদ, ৪৮টি আঙ্গুর গাছ এবং ৫২টি বড় গাছও রয়েছে জাহাজটিতে। ভূমধ্যসাগর বা ক্যারিবিয়ানে ছুটিছাটায় সবচেয়ে বেশি বিনোদন দিতে জাহাজটি আয়োজনের কোনো কমতি রাখেনি। হাজার ১৮৭ ফুট লম্বা ২৩০ ফুট উচ্চতার জাহাজটি হাজার ৭৮০ জন যাত্রী বহন করতে পারে। রয়েল ক্যারিবিয়ান ইন্টারন্যাশনাল নৌবহরের ২৫তম জাহাজ এটি। জাহাজটির নির্মাণ ব্যয় ৭০০ মিলিয়ন পাউন্ড। দ্রুততার দিক থেকে জাহাজটি ঘণ্টায় ২৫ কিলোমিটার বেগে ছুটতে পারে। এতে রয়েছে মোট ১৮টি ডেক। এর মধ্যে ১৬টি ডেকে রয়েছে হাজার ৭৪৭টি কেবিন। যা বর্তমানে যে কোনো জাহাজের চেয়ে অনেক বেশি। এটি এত বড় যে যাত্রীরা যাতে হারিয়ে না যায় সে জন্য তাদের জিপিএস অর্থাৎ গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম ব্যবহার করতে হয়।
পৃথিবীর সব থেকে দীর্ঘতম ট্রেন 'অস্ট্রেলিয়ান BHP Iron Ore ২০১১ সালে অস্ট্রেলিয়ার নিউম্যান থেকে পোর্ট হেডল্যান্ডে ২৭৫ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করে এই মালবাহি ট্রেনটি। ৬৮২টি ওয়াগন বিশিষ্ট এই ট্রেনের দৈর্ঘ্য .৩৫ কিলোমিটার। যার মোট ওজন ছিল লক্ষ টন। ৬০০০ হর্স পাওয়ারের এই ট্রেনটি ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার বেগে ছুটতে পারে। গিনিস বুক রেকর্ডে এটাই বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘতম ট্রেন।
হোভার ক্রাফট হল বর্তমান প্রজন্মের অত্যাধুনিক হাইড্রলিক জাহাজ, এবং রাশিয়ান জুবর ক্লাস হোভার ক্রাফট বিশ্বের সবচেয়ে বড় হোভার ক্রাফট।  যা কিনা জলে এবং স্থলে অনায়াসে চলাচল করতে পারে। বর্তমান বিশ্বের উন্নত প্রায় সকল দেশের বহরেই এই জাহাজটি দেখা যায়। জাহাজের নিচের অংশ একটি বিশাল আকৃতির হাপর। চলাচলের সময় এই হাপর বাতাস দিয়ে ফুলিয়ে দেয়া হয়। বিশাল আকৃতির দুটি গ্যাস টারবাইনের সাহায্যে এটি সামনের দিকে এগিয়ে চলে, অনেকটা বিমানের মত। রাশিয়ান এই জাহাজটি ঘণ্টায় ১১১ কিলোমিটার গতিতে ছুটতে সক্ষম।
এত বড় সাইজের জাহাজটি যে এতো দ্রুত গতিতে ছুটতে পারে তা হয়তো আপনি কল্পনাও করতে পারেন নি। এটি একটি অত্যাধুনিক যাত্রীবাহী ওয়াটারজেট জাহাজ। ৩২০০ হর্স পাওয়ারের এই জাহাজটিতে ব্যাবহার করা হয়েছে জেট টার্বাইন ইঞ্জিন। ৩৫০ জন যাত্রী সহ ৮৭ কিলোমিটার গতিতে ছুটতে সক্ষম এই জাহাজ। ১৯৭৬ সালে প্রথম যাত্রা শুরু করে এই অত্যাধুনিক জাহাজ।
এবারে থাকছে জার্মানদের তৈরি বিশ্বের সবচেয়ে বড় খনন যন্ত্র “The Krupp
Digging Machine”
জার্মান কোম্পানি ক্রাপ ১৯৭৮ সালে এই মেশিনটি তৈরি করে। ১৮ টি বাকেট সম্বলিত এর একটি ব্লেডের ব্যাস ২১ মিটার, যার প্রতিটি বাকেটের ধারন ক্ষমতা . টন। জার্মানের ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ গারজওয়েলার খনির খনন কাজে এই বিরাট আকৃতির যন্ত্রটি ব্যবহার করা হয়েছিল।
জার্মানদের নকশায় ১৯৩০ সালে নির্মিত হয় বিশ্বের সবচেয়ে বড় যুদ্ধ ট্যাঙ্কগুস্তাভ এই জার্মান কামানটি এখন পর্যন্ত আবিষ্কার হওয়া পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে বড় কামান হিসেবে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে।

0 comentários:

Post a Comment

Feature Post