Saturday, September 12, 2020

বিপজ্জনক ১১টি বিমানবন্দর | Top 11 Dangerous Airport in the World | ADVUT...





বিপজ্জনক রানওয়েতে বিমান দুর্ঘটনা নতুন নয় ৷ বিশ্বের বহু দেশেই এমন ছোট-বড় অনেক দুর্ঘটনার নজির রয়েছে ৷ আকাশ যাত্রা রোমাঞ্চকর কিন্তু পৃথিবীতে এমন কিছু বিমানবন্দর আছে যেখানে উড়োজাহাজ ওঠা নামা করাটা খুবই বিপদজনক। মাত্র একটা ভুল ডেকে আনতে পারে হাজারো মানুষের মৃত্যু। চলুন যেনে আসি পৃথিবীর ১১টি বিপজ্জনক বিমানবন্দর সম্পর্কে।

 

১১। টনকন্টিন এয়ারপোর্টঃ হন্ডুরাসের তেগুসিগালপাতে অবস্থিত মিলিটারি বিমানবন্দর। এখানে আকাশে ওড়া এবং ল্যান্ডিং করাটা হল একটা ভয়ংকর স্বপ্নের মত। এটি সমুদ্রতল থেকে প্রায় ৩ হাজার ২৯৭ ফুট উঁচুতে অবস্থিত এবং এর রানওয়ে ৭০৯৬ ফুট লম্বা। বিমানবন্দরটি চারিদিক থেকে উঁচু পাহাড় দ্বারা আবৃত।

 

১০। গিসবর্ন এয়ারপোর্ট: নিউজিল্যান্ডের গিসবর্ন শহরের ঠিক বাইরের দিকে এই বিমানবন্দরটি অবস্থিত। সবচেয়ে আশ্চর্যজনক হল এই বিমানবন্দরের রানওয়ের ঠিক মাঝখান দিয়ে চলে গিয়েছে একটি রেলপথ। ট্রেনের সময়সূচি অনুযায়ী বিমান অবতরণের সময়সূচি তৈরি করা হয়।

 

৯। জাপানের কানসাই আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্ট: জাপানের একটি ছোট্ট দ্বীপের মধ্যে এই বিমানবন্দর তৈরি হয়েছে। যখন তখন ভূমিকম্প, ঘূর্ণিঝড় বা ঝড় লেগেই থাকে। এই বিমানবন্দরে বিমান চলাচল তাই অত্যন্ত বিপজ্জনক।

 

৮। গুস্তাফ ৩ আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্টঃ এই বিমানবন্দরের রানওয়ের দৈর্ঘ্য মাত্র ৬৪৬ মিটার। খুবই স্বল্প দৈর্ঘ্যের হওয়ার কারণে এই বিমানবন্দরে কেবলমাত্র ২০ জন যাত্রীবাহী বিমান অবতরণের ক্ষেত্রে অনুমতি দেওয়া হয়।

 

৭। গ্রিনল্যান্ডের নাসারসুক এয়ারপোর্ট: রানওয়ে কতটা বিপজ্জনক হতে পারে তা আন্দাজ করাটা হয়তো খুব একাট কঠিন কাজ নয় ৷ পাহাড়ের গা বেয়ে অধিকাংশ সময় সাংঘাতিক ঝড় অতিক্রম করে বিমান ওঠানামা করতে হয় পাইলটদের।

 

৬। জিব্রাল্টার এয়ারপোর্টঃ ব্রিটেনের নিকটে ৬.৮ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে জিব্রাল্টার প্রনালীতে অবস্থিত এই বিমানবন্দর। এই বিমানবন্দরের রানওয়ের মাঝখান দিয়ে একটি রাস্তা চলে গেছে। সমুদ্রতল থেকে এর উচ্চতা মাত্র ১৫ ফুট এবং এর রানওয়েটি মাত্র ৫৫১১ ফুট লম্বা। জায়গা কম থাকার জন্য যখন বিমান ওঠানামা করে তখন এর রানওয়ের মাঝখানে অবস্থিত রাস্তাটিকে ব্যারিকেড দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়।

 

৫। প্রিন্সেস জুলিয়ানা এয়ারপোর্টঃ প্রিন্সেস জুলিয়ানা এয়ারপোর্টটি ক্যারিবিয়ান দ্বীপে অবস্থিত। অদ্ভুত ও রোমাঞ্চকর দৃশ্য এবং সমুদ্র সৈকতের অতি নিকটে অবস্থিত হওয়ার জন্য বিমানবন্দরটি পর্যটকদের কাছে খুবই পরিচিত। বিমান ওঠা ও নামার সময় সৈকতে উপস্থিত পর্যটকেরা এই রোমাঞ্চিত ব্যাপার গুলোকে খুবই উপভোগ করে। অসংখ্য পর্যটক এই রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হওয়ার জন্য এই সমুদ্রসৈকতে এসে ভিড় জমায়।

 

৪। সাবা এয়ারপোর্ট নেদারল্যান্ডস: কারো কারো মতে, এটাই বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ানক বিমানবন্দর। প্রতিবারই এখানে বিমান অবতরণের সময় যাত্রীদের মুখ শুকিয়ে পানসে হয়ে যায়। পাইলটের বুকে কাঁপুনি ধরে কি না জানা নেই, তবে কিছুক্ষণের জন্য বাকিদের ধুকপুক যে বেড়ে যায়, এটা সত্য। কারণ গোটা বিমানবন্দরই আছে একটা ছোট্ট দ্বীপের ওপর। ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের মধ্যে এটাই নাকি সবচেয়ে সুন্দর। সমস্যা শুধু একটাই, রানওয়েটা মাত্র এক হাজার ৩০০ ফুট লম্বা। যা বিশ্বের বাণিজ্যিক রানওয়েগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ছোট। হিসাবের চেয়ে একটু সামনে এগোলেই ধপাস করে সাগরে আছড়ে পড়বে বিমান। তাই ওঠা ও নামা, দুটোর ক্ষেত্রেই পাইলটকে করতে হয় চুলচেরা বিশ্লেশন।

 

৩। নেপালের তেঞ্জিং হিলারি বা লুকলা এয়ারপোর্ট: আপনি এভারেস্টের চূড়ায় চড়তে চাইলে তেঞ্জিং হিলারি বিমানবন্দরে আসতেই হবে। কারণ মাউন্ট এভারেস্টে চড়ার জন্য তেঞ্জিং হিলারিতে বেস ক্যাম্প বানানো হয়েছে। এখানকার পাহাড়ি হাওয়া এবং ভয়ংকর প্রাকৃতিক পরিবেশ এই বিমানবন্দরকে বিপদজনক করে তুলেছে। বিমানবন্দরের রানওয়ে যেখানে শেষ হয়েছে সেখান থেকে শুরু হয়েছে গভীর খাঁদ।

 

২। করশিভেল এয়ারপোর্ট: ফ্রান্সে অবস্থিত এই বিমানবন্দরের রানওয়েটি খুবই ছোট। এটি সমুদ্রতল থেকে প্রায় ৬ হাজার ৫৮৮ ফুট উঁচুতে অবস্থিত এবং এর রানওয়ের দৈর্ঘ্য মাত্র ৫৩৭ মিটার। আল্পস পর্বতের উপর অবস্থিত এই জায়গাটি স্কি রিসোর্টের জন্য বিখ্যাত। মূলত এই বিমানবন্দর স্কি পর্যটকরাই ব্যবহার করে থাকে। এই বিমান বন্দরের রানওয়ে বরফ এবং কুয়াশায় ঢাকা থাকার পাশাপাশি স্বল্প দৈর্ঘ্যের হওয়াই পাইলটদের বিমান অবতরণ করানো খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এর রানওয়েটি সমতল না হওয়ার কারনে এটি বিশ্বের ভয়ংকর ও বিপদজনক বিমানবন্দর গুলির মধ্যে অন্যতম।

 

১। সি আইস এয়ারপোর্ট: এন্টার্কটিকা মহাদেশে অবস্থিত এবং পৃথিবীর একমাত্র বরফের বিমানবন্দর এটি। বিশ্বের যত বিপজ্জনক বিমানবন্দর রয়েছে তারমধ্যে অন্যতম এটি। এন্টার্কটিকায় গবেষণারত গবেষকদের কাছে বিভিন্ন জিনিসপত্র আনা নেওয়ার জন্য যে তিনটি এয়ার স্ট্রিপের ব্যবহার রয়েছে এর মধ্যে এটি একটি। এই বিমানবন্দর পাইলটদের কাছে খুবই ভয়ানক। কারণ এখানে পাইলটদের প্রসারিত বরফের উপর খুব সতর্কতা নিয়ে বিমান অবতরণ করাতে হয়। এন্টার্কটিকায় বরফে ঢাকা রানওয়েগুলোর মধ্যে সি আইস বিশ্বের যে কোনো বিমানবন্দর থেকে আলাদা শুধু বিমানের ল্যান্ডি এরিয়ার জন্য। এখানে তড়িঘড়ি করে উড়োজাহাজ নামাতে গেলেই অতিরিক্ত ওজনের কারণে ভেঙে পড়ার আশঙ্কা থেকে যায়।

0 comentários:

Post a Comment

Feature Post