ইতিহাসের বৃহত্তম কামান "গুস্তাভ" | The Biggest Cannon in History "Heavy ...
জার্মানদের নকশায় ১৯৩০ সালে নির্মিত হয় বিশ্বের সবচেয়ে বড় যুদ্ধ
ট্যাঙ্ক ‘গুস্তাভ’। এই জার্মান কামানটি এখন পর্যন্ত
আবিষ্কার হওয়া পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে বড় কামান হিসেবে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে। ৩৮ ফুট
১ ইঞ্চি উচ্চতা ও ২৩ ফুট ৪ ইঞ্চি প্রস্থের এই কামানের দৈর্ঘ্য ছিল ১৫৫ ফুট ২ ইঞ্চি।
এর নলের ব্যাস ২ ফুট ৬ ইঞ্চি এবং দৈর্ঘ্য ছিল ৯৮ ফুট। পুরো কামানটির ওজন ১৩৫০ টন অর্থাৎ
১৩ লক্ষ ৫০ হাজার কিলোগ্রাম।
একেকটি গোলার ওজন ছিল ৭ হাজার কিলোগ্রাম। ১৯৪১ সালে ফরাসিট্যাঙ্ক ‘গুস্তাভ’। এই জার্মান কামানটি এখন পর্যন্ত
আবিষ্কার হওয়া পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে বড় কামান হিসেবে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে। ৩৮ ফুট
১ ইঞ্চি উচ্চতা ও ২৩ ফুট ৪ ইঞ্চি প্রস্থের এই কামানের দৈর্ঘ্য ছিল ১৫৫ ফুট ২ ইঞ্চি।
এর নলের ব্যাস ২ ফুট ৬ ইঞ্চি এবং দৈর্ঘ্য ছিল ৯৮ ফুট। পুরো কামানটির ওজন ১৩৫০ টন অর্থাৎ
১৩ লক্ষ ৫০ হাজার কিলোগ্রাম।
সেনার বিরুদ্ধে প্রথম ব্যবহৃত হয় এই দৈত্যাকার জার্মান ট্যাঙ্ক। এই বিপুল ওজনের গোলা
৪৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত প্রতিপক্ষ ঘাঁটিতে নিক্ষেপ করতে সক্ষম ছিল। ১৯৩৯ সালে প্রথম
টেস্ট ফায়ারে ‘গুস্তাভ’-এর গোলা একটি ৩ ফুট পুরু লোহার
পাতে মোড়া ২৩ ফুট চওড়া কংক্রিটের দেওয়াল গুঁড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়েছিল। ১৯৪২ সালে সেবাস্তপল
বাজেয়াপ্ত করার সময় গুস্তাভ থেকে ৪২ বার গোলা নিক্ষেপ করা হয়। ৮০ চাকা বিশিষ্ট এই ‘গুস্তাভ’ ২৪ ঘণ্টায় মোট ১৪ বার গোলা
ছুড়তে পারত। এর ওজন এতটাই বেশি যে এটিকে সড়ক পথে পরিবহন করা সম্ভব ছিল না। এই দৈত্যাকার
কামানটি এক জায়গা থেকে অন্যত্র নিয়ে যেতে বিশেষ রেলওয়ে ট্র্যাকের ব্যবহার করা হত। এটি
মূলত তৈরি করা হয়েছিল ফ্রান্সের শক্তিশালী ম্যজিনো লাইন গুড়িয়ে দেয়ার জন্য। পরবর্তীতে
এটি সোভিয়েত ইউনিয়নে মোতায়েন করা হয় অপারেশন বারবারোসার অধীনে। ব্যয়বহুল এই কামানটির
রক্ষণাবেক্ষণ এবং বিমান হামলা থেকে রক্ষা করার জন্য ৪ হাজারের একটি সৈন্যদল মোতায়েন
করা হয়েছিল। এছাড়াও মিত্রবাহিনীরা যাতে ভুলে এগুলোকে হামলা না করে বসে, সেজন্যও বিশেষ
এক সেনাবাহিনী গঠন করা হয়েছিল। যুদ্ধের শেষ দিকে জার্মারাই এটি ধ্বংস করে দেয়, যাতে
সোভিয়েতরা এর প্রযুক্তি হাতে না পায়।
0 comentários:
Post a Comment