বর্বর ভাইকিং জাতি | Vikings of the Scandinavia | ADVUT 365
সমুদ্রচারী দস্যুরাই
ইউরোপে পরিচিত ছিল ‘ভাইকিং’ নামে। ভাইকিং মুলত স্ক্যান্ডিনেভিয়ার সমুদ্রচারী ব্যবসায়ী, যোদ্ধা
ও জলদস্যুদের একটি দল, যারা ৮ম শতক থেকে ১১শ শতক পর্যন্ত ইউরোপের এক বিরাট এলাকা
জুড়ে লুটতরাজ চালিয়েছিল এবং সেই সাথে বসতি স্থাপন করেছিল। ভাইকিংদের আধিপত্য ছিল
৮শ থেকে থেকে ১১শ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত । স্ক্যান্ডিনেভিয়া অঞ্চলের একটি বিশাল
সংখ্যালঘু গোষ্ঠী তাদের অবস্থার উন্নতির জন্য মাতৃভূমি ত্যাগ করে সমুদ্র তীরবর্তি
অঞ্চলে বসবাস শুরু করেছিল। সমুদ্র সৈকতে বসতি স্থাপনকারী এবং জীবিকার তাগিদে
অনবরতভাবে যুদ্ধে লিপ্ত এসব মানুষরাই ভাইকিং নামে পরিচিত।
ইউরোপে পরিচিত ছিল ‘ভাইকিং’ নামে। ভাইকিং মুলত স্ক্যান্ডিনেভিয়ার সমুদ্রচারী ব্যবসায়ী, যোদ্ধা
ও জলদস্যুদের একটি দল, যারা ৮ম শতক থেকে ১১শ শতক পর্যন্ত ইউরোপের এক বিরাট এলাকা
জুড়ে লুটতরাজ চালিয়েছিল এবং সেই সাথে বসতি স্থাপন করেছিল। ভাইকিংদের আধিপত্য ছিল
৮শ থেকে থেকে ১১শ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত । স্ক্যান্ডিনেভিয়া অঞ্চলের একটি বিশাল
সংখ্যালঘু গোষ্ঠী তাদের অবস্থার উন্নতির জন্য মাতৃভূমি ত্যাগ করে সমুদ্র তীরবর্তি
অঞ্চলে বসবাস শুরু করেছিল। সমুদ্র সৈকতে বসতি স্থাপনকারী এবং জীবিকার তাগিদে
অনবরতভাবে যুদ্ধে লিপ্ত এসব মানুষরাই ভাইকিং নামে পরিচিত।
বিভিন্ন উপকূলীয় অঞ্চল,
বিশেষ করে আশ্রম, মঠ, ব্রিটিশ দ্বীপ ইত্যাদি স্থানে তারা অভিযান চালাত। তিন
শতাব্দী ধরে তারা ব্রিটেন এবং ইউরোপ মহাদেশের উপর বিভিন্ন ভাবে আক্রমণ চালায়।
যুদ্ধে পারদর্শী, আর জাহাজ চালানোর অসম্ভব দক্ষতা কাজে লাগিয়ে প্রায় ৩শ’
বছর ধরে গোটা ইউরোপ, আমেরিকা দপিয়ে বেড়িয়েছে তারা।
বিশেষ করে আশ্রম, মঠ, ব্রিটিশ দ্বীপ ইত্যাদি স্থানে তারা অভিযান চালাত। তিন
শতাব্দী ধরে তারা ব্রিটেন এবং ইউরোপ মহাদেশের উপর বিভিন্ন ভাবে আক্রমণ চালায়।
যুদ্ধে পারদর্শী, আর জাহাজ চালানোর অসম্ভব দক্ষতা কাজে লাগিয়ে প্রায় ৩শ’
বছর ধরে গোটা ইউরোপ, আমেরিকা দপিয়ে বেড়িয়েছে তারা।
ভাইকিং
নামটি এসেছে মুলত স্ক্যান্ডিনেভিয়ান থেকে, পুরনো নরওয়েজিয়ান শব্দ
"বিকা" থেকে এর উৎপত্তি। বিকা শব্দের অর্থ উপসাগর বা খাদ। সভ্যতার
মানদন্ডে রীতিমতো অসভ্য আর বর্বর এই জাতি সাগরে অসম্ভব সব দূরত্ব পাড়ি দিয়েছিল,
নতুন নতুন দেশ আবিষ্কার করেছিল। আর এ সবকিছুই সম্ভব হয়েছিল তাদের নিজেদের
প্রচেষ্টায়। ভাইকিংরা জাহাজ বানানোতে ছিলো অসম্ভব রকমের পারদর্শী। একটা জাহাজ কোন
পথে যাবে বা কি পরিমাণ ভার বহন করবে এসব বিবেচনা করে তারা জাহাজ নির্মাণ করতো।
প্রতিটি অভিযান শেষে নিরাপদে ফেরত আসা নাবিকদের মুখে সমুদ্রযাত্রার বিবরণ শুনে সেই
যাত্রাপথ অনুযায়ী জাহাজের নকশা তৈরী করতো নির্মাতারা। সাধারনত দুই ধরনের জাহাজ
বানাতো তারা, তার মধ্যে সবচেয়ে কুখ্যাত ছিলো ‘ল্যাংস্কিপ’
নামক একটি যুদ্ধ জাহাজ। এই জাহাজগুলোতে চেপে তারা হামলা করতো বিভিন্ন দেশে।
নামটি এসেছে মুলত স্ক্যান্ডিনেভিয়ান থেকে, পুরনো নরওয়েজিয়ান শব্দ
"বিকা" থেকে এর উৎপত্তি। বিকা শব্দের অর্থ উপসাগর বা খাদ। সভ্যতার
মানদন্ডে রীতিমতো অসভ্য আর বর্বর এই জাতি সাগরে অসম্ভব সব দূরত্ব পাড়ি দিয়েছিল,
নতুন নতুন দেশ আবিষ্কার করেছিল। আর এ সবকিছুই সম্ভব হয়েছিল তাদের নিজেদের
প্রচেষ্টায়। ভাইকিংরা জাহাজ বানানোতে ছিলো অসম্ভব রকমের পারদর্শী। একটা জাহাজ কোন
পথে যাবে বা কি পরিমাণ ভার বহন করবে এসব বিবেচনা করে তারা জাহাজ নির্মাণ করতো।
প্রতিটি অভিযান শেষে নিরাপদে ফেরত আসা নাবিকদের মুখে সমুদ্রযাত্রার বিবরণ শুনে সেই
যাত্রাপথ অনুযায়ী জাহাজের নকশা তৈরী করতো নির্মাতারা। সাধারনত দুই ধরনের জাহাজ
বানাতো তারা, তার মধ্যে সবচেয়ে কুখ্যাত ছিলো ‘ল্যাংস্কিপ’
নামক একটি যুদ্ধ জাহাজ। এই জাহাজগুলোতে চেপে তারা হামলা করতো বিভিন্ন দেশে।
ভাইকিংরা
কোন নির্দিষ্ট বংশ বা ধর্মের অনুসারী ছিলো না। তাদেরকে ইউরোপীয়রা নিজেদের স্বজাতি
হিসেবেও মেনে নিতে পারেনি। কারন তারা একটি বিদেশী জাতি হিসাবে এসেছিল এবং তাদের
কর্মকাণ্ড ছিলো বর্বরোচিত। ভাইকিংদের দৌরাত্ম্য সবচেয়ে বেশি প্রচলিত ছিল বর্তমান
সময়ের নরওয়ে, সুইডেন এবং ডেনর্মাক এলাকাগুলোতে, এই দেশগুলোই একত্রে
স্ক্যান্ডিনেভিয়া হিসেবে পরিচিত। তারা যে দেশে বাস করত সেখানকার মাটি ছিলো ভয়াবহ
রকমের রুক্ষ আর অনুর্বর। সেই সাথে ছিল তীব্র শীতের প্রকোপ। অনেকটা বাঁচার তাগিদেই
প্রতি বছর জাহাজে চেপে বিভিন্ন দেশে অভিযানে বের হতো তারা। লুটপাট চালানোর
ব্যাপারে তারা ছিলো অসম্ভব নির্মম আর অসভ্য।
কোন নির্দিষ্ট বংশ বা ধর্মের অনুসারী ছিলো না। তাদেরকে ইউরোপীয়রা নিজেদের স্বজাতি
হিসেবেও মেনে নিতে পারেনি। কারন তারা একটি বিদেশী জাতি হিসাবে এসেছিল এবং তাদের
কর্মকাণ্ড ছিলো বর্বরোচিত। ভাইকিংদের দৌরাত্ম্য সবচেয়ে বেশি প্রচলিত ছিল বর্তমান
সময়ের নরওয়ে, সুইডেন এবং ডেনর্মাক এলাকাগুলোতে, এই দেশগুলোই একত্রে
স্ক্যান্ডিনেভিয়া হিসেবে পরিচিত। তারা যে দেশে বাস করত সেখানকার মাটি ছিলো ভয়াবহ
রকমের রুক্ষ আর অনুর্বর। সেই সাথে ছিল তীব্র শীতের প্রকোপ। অনেকটা বাঁচার তাগিদেই
প্রতি বছর জাহাজে চেপে বিভিন্ন দেশে অভিযানে বের হতো তারা। লুটপাট চালানোর
ব্যাপারে তারা ছিলো অসম্ভব নির্মম আর অসভ্য।
৭৯৪
খ্রিস্টাব্দে, উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় ইংল্যান্ডের নর্থমারল্যান্ডের উপকূলে
লিন্ডসফার্নে এক সন্ন্যাসীদের আশ্রমে আক্রমণের মধ্য দিয়ে ভাইকিং যুগের সূচনা
হয়েছিল।
খ্রিস্টাব্দে, উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় ইংল্যান্ডের নর্থমারল্যান্ডের উপকূলে
লিন্ডসফার্নে এক সন্ন্যাসীদের আশ্রমে আক্রমণের মধ্য দিয়ে ভাইকিং যুগের সূচনা
হয়েছিল।
অন্যান্য
গোষ্ঠীর তুলনায় তারা ছিল অদ্ভুত রকমের আগ্রাসি। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের প্রতিও তারা
কোন শ্রদ্ধা দেখায়নি কখনো। তারা আয়ারল্যান্ডের উত্তর-পূর্ব উপকূলের দ্বীপ, আশ্রম
ও মঠ গুলোতে আক্রমণ চালায়। ৮৪০ খ্রিস্টাব্দে লন্ডনের ফ্রাইকা অর্থাৎ ফ্রান্স ও
জার্মানের রাজা লুইসের মৃত্যুর পর তাঁর ছেলে লোথর তার ভাইদের যুদ্ধে পরাজিত করার
জন্য ভাইকিংদের কাছে সাহায্যের জন্য এসেছিল। ভাইকিংরা আগেই বুঝতে পেরেছিল যে
ফ্র্যাঙ্কিশ শাসকরা তাদের অর্থ প্রদান করতে ইচ্ছুক। তাই তারা এ সুযোগের সৎব্যাবহার
করেছিল। এর ফলে তাদের প্রভাব ইউরোপে আরও বিস্তৃত হয়।
গোষ্ঠীর তুলনায় তারা ছিল অদ্ভুত রকমের আগ্রাসি। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের প্রতিও তারা
কোন শ্রদ্ধা দেখায়নি কখনো। তারা আয়ারল্যান্ডের উত্তর-পূর্ব উপকূলের দ্বীপ, আশ্রম
ও মঠ গুলোতে আক্রমণ চালায়। ৮৪০ খ্রিস্টাব্দে লন্ডনের ফ্রাইকা অর্থাৎ ফ্রান্স ও
জার্মানের রাজা লুইসের মৃত্যুর পর তাঁর ছেলে লোথর তার ভাইদের যুদ্ধে পরাজিত করার
জন্য ভাইকিংদের কাছে সাহায্যের জন্য এসেছিল। ভাইকিংরা আগেই বুঝতে পেরেছিল যে
ফ্র্যাঙ্কিশ শাসকরা তাদের অর্থ প্রদান করতে ইচ্ছুক। তাই তারা এ সুযোগের সৎব্যাবহার
করেছিল। এর ফলে তাদের প্রভাব ইউরোপে আরও বিস্তৃত হয়।
ভাইকিংরা
নবম শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে, আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড এবং ইংল্যান্ডে অভিযান
পরিচালনা করে। নতুন কোনো জনপদ থেকে তাদের একজন অভিযাত্রী বেঁচে ফিরে আসতে পারলেই
পরের মৌসুমে তারা সেই যাত্রাপথে রওনা হয়ে যেতো ড্রাগন জাহাজের বিশাল বহর নিয়ে।
ইংল্যান্ড নামের দেশ নিয়ে ভাইকিংদের ভেতর অনেক কথা প্রচলিত ছিলো। তারা জানতো
সূর্যাস্তের দিকে একটানা সাতদিন জাহাজ চালালে একটা সবুজ দেশ দেখা যায়। তাদের
প্রধান লক্ষ্য ছিল নিজেদের জন্য স্থায়ি বসবাস তৈরি করা। তারা "Wilds
Scotlands"এর উত্তরাঞ্চল, হিব্রাইডস্ এবং স্কটল্যান্ডের বেশিরভাগ অংশের নিয়ন্ত্রণ
লাভ করে। তারাই আয়ারল্যান্ডের প্রথম বাণিজ্যিক শহরগুলো প্রতিষ্ঠা করেছিল।
নবম শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে, আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড এবং ইংল্যান্ডে অভিযান
পরিচালনা করে। নতুন কোনো জনপদ থেকে তাদের একজন অভিযাত্রী বেঁচে ফিরে আসতে পারলেই
পরের মৌসুমে তারা সেই যাত্রাপথে রওনা হয়ে যেতো ড্রাগন জাহাজের বিশাল বহর নিয়ে।
ইংল্যান্ড নামের দেশ নিয়ে ভাইকিংদের ভেতর অনেক কথা প্রচলিত ছিলো। তারা জানতো
সূর্যাস্তের দিকে একটানা সাতদিন জাহাজ চালালে একটা সবুজ দেশ দেখা যায়। তাদের
প্রধান লক্ষ্য ছিল নিজেদের জন্য স্থায়ি বসবাস তৈরি করা। তারা "Wilds
Scotlands"এর উত্তরাঞ্চল, হিব্রাইডস্ এবং স্কটল্যান্ডের বেশিরভাগ অংশের নিয়ন্ত্রণ
লাভ করে। তারাই আয়ারল্যান্ডের প্রথম বাণিজ্যিক শহরগুলো প্রতিষ্ঠা করেছিল।
Dablin,
Waterford, Wexford, Weeklo এবং Limerik ইত্যাদি স্থানগুলো ব্যবহার করে
আয়ারল্যান্ড এবং আইরিশ সাগরে সারা ইংল্যান্ডের উপর হামলা চালান হত। তারা আইরিশ
উপকূল ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করতো। ৮৫১ খ্রিস্টাব্দে ইংল্যান্ডে আক্রমণের মধ্যে
দিয়ে ইংল্যান্ড আক্রমনের সূচনা ঘটে। ভাইকিং বাহিনী পূর্ব এঙ্গেলিয়া ও
নর্থবারল্যান্ড জয়লাভ করে। ৮৯৩ সালে প্রথমবার সফলভাবে ইংল্যান্ডে পৌছে লুটপাট
চালিয়ে ফেরত আসতে সক্ষম হয় তারা। ইংল্যান্ডের ১১০৯ সালের ঘটনাগুলো কার্যকরভাবে ভাইকিংদের সমাপ্তি
ঘটায়। তাদের সমাপ্তির পর স্ক্যান্ডিনেভিয়ানের সমস্ত রাজ্যেই খ্রিস্টান ছিল এবং
ভাইকিং সংস্কৃতিগুলো ইউরোপের সংস্কৃতির রূপ নিয়ে ছিল। এখনো ভাইকিং বংশভুত কিছু
মানুষ স্ক্যান্ডিনেভিয়ানের কয়েকটি স্থানে স্থায়ীভাবে বসবাস করে। এছাড়াও
উত্তর ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড এবং রাশিয়া সহ আরো কিছু স্থানে তাদের উত্তরসূরিদের
দেখা পাওয়া যায়।
Waterford, Wexford, Weeklo এবং Limerik ইত্যাদি স্থানগুলো ব্যবহার করে
আয়ারল্যান্ড এবং আইরিশ সাগরে সারা ইংল্যান্ডের উপর হামলা চালান হত। তারা আইরিশ
উপকূল ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করতো। ৮৫১ খ্রিস্টাব্দে ইংল্যান্ডে আক্রমণের মধ্যে
দিয়ে ইংল্যান্ড আক্রমনের সূচনা ঘটে। ভাইকিং বাহিনী পূর্ব এঙ্গেলিয়া ও
নর্থবারল্যান্ড জয়লাভ করে। ৮৯৩ সালে প্রথমবার সফলভাবে ইংল্যান্ডে পৌছে লুটপাট
চালিয়ে ফেরত আসতে সক্ষম হয় তারা। ইংল্যান্ডের ১১০৯ সালের ঘটনাগুলো কার্যকরভাবে ভাইকিংদের সমাপ্তি
ঘটায়। তাদের সমাপ্তির পর স্ক্যান্ডিনেভিয়ানের সমস্ত রাজ্যেই খ্রিস্টান ছিল এবং
ভাইকিং সংস্কৃতিগুলো ইউরোপের সংস্কৃতির রূপ নিয়ে ছিল। এখনো ভাইকিং বংশভুত কিছু
মানুষ স্ক্যান্ডিনেভিয়ানের কয়েকটি স্থানে স্থায়ীভাবে বসবাস করে। এছাড়াও
উত্তর ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড এবং রাশিয়া সহ আরো কিছু স্থানে তাদের উত্তরসূরিদের
দেখা পাওয়া যায়।
0 comentários:
Post a Comment